Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ফ্রীল্যান্সিং শিখুন


ফ্রীল্যান্সিং শিখুন, Learn Freelancing




ফ্রীল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন? শুরু করবেন কিভাবে তা নিয়ে অনিশ্চিত? ভাবছেন কিভাবে কোথায় শুরু করবেন এবং কোথায় ট্রেনিং নিলে ভালো শিখতে পারবেন? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্যই। কারণ ফ্রীল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে চাইলে আগেই আপনার কিছু বিষয় জেনে নেয়া উচিৎ আর সেগুলোকে নিয়েই আজকের এই পোস্ট। যা হয়তোবা আপনার যাত্রা শুরুতে সবচেয়ে বেশী কাজে আসবে। কেননা এখানে ট্রেনিং নেয়ার বিষয়ের পাশাপাশি আপনার আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে যা হয়তোবা আপনি মনে মনেই ভাবছেন।

তাহলে শুরু করা যাক। শুরু করার আগেই প্রথমেই জেনে নেয়া যাক আপনি কোন বিষয়ের উপর কাজ শিখতে চাচ্ছেন? এখনো ঠিক করেননি? ট্রেনিং নেয়ার জন্য যেখানে যাবেন সেখানে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন? তাহলে আপনি ভুল ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন। আসলেই।

 

১. কোন বিষয়ে কাজ শিখবেন?

ফ্রীল্যান্সার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে চাইলে আগে জেনে নিন আপনি কোন বিষয়ের উপর কাজ শিখতে চান। এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেয়া জরুরী। প্রথমত কোন কাজটি আপনার ভালো লাগে। কেননা প্রায় সব ধরণের বিষয়ের উপরেই কাজ শিখে ফ্রীল্যান্সার হিসেবে নিজেকে দাড় করানো সম্ভব। আর যদি সেই বিষয়ের আপনার আগ্রহ কম থাকে তাহলে আপনি ফ্রীল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে গিয়েও বিভিন্ন বাঁধার সম্মুখীন হবেন। যেমন আপনার কাজ করতে ভালো না লাগা, নিজেকে সেই বিষয়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিতে সমস্যা এবং সময়ের সাথে নিজেকে আপডেট রাখা ইত্যাদি। যার ফলে আপনার সফল হয়ে উঠার সম্ভাবনা কমে আসবে। তাই আগে নিজেকে যাচাই করুন। বুঝতে চেষ্টা করুন আপনি কি বিষয়ের উপর মানিয়ে নিতে পারবেন, কোন বিষয় আপনার কাছে ভালো লাগে এবং আপনিও শিখতে চান। হতে পারে ছবি তোলা বা ভিডিও এডিটিং বা ভিডিও গেইম খেলা অথবা ওয়েবসাইট এর খুঁটিনাটি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে থাকা এবং এটাও হতে পারে যে মোবাইলের অ্যাপ্লিকেশান আপনার বেশী ভালো লাগে। আর যেটা বেশী ভালো লাগে সেটা নিয়েই প্রথমেই ইন্টারনেট এ ঘাঁটাঘাঁটি করুন। দেখুন কিভাবে সেগুলো নিয়ে কাজ করা যায়, কিভাবে এর থেকে আয়ও করা যায় এবং আসলেই এর সাথে নিজেকে মানানো যায় কিনা। যদি মনে করেন আপনি এই বিষয়ের উপরেই পারবেন এবং আপনারও ভালো লাগে এবং পর্যাপ্ত তথ্য এখন আপনি জানেন তাহলে এবার চলে যান দ্বিতীয় পদক্ষেপে।

 

২. কোথায় ট্রেনিং নিবেন?

ট্রেনিং নেয়ার ব্যাপারটি একটু কঠিনই বটে। তবে আমার দৃষ্টিতে। শুরুতেই খুঁজে দেখুন আপনি যে বিষয়ের উপর কাজ শিখতে চাচ্ছেন সেসকল বিষয়ের উপর কোন কোন ট্রেনিং সেন্টার কাজ শিখাচ্ছে। সেই সাথে খোঁজ নিন তাদের ভিতর কারা কারা সফলভাবে কাজ শিখিয়ে যাচ্ছে। তাদের কাজ শিখানোর মান কেমন এবং আসলেই তারা ভালোভাবে শিখাতে পারছে কিনা। যদি ফীডব্যাক ভালো থাকে তবে সেখানেই ট্রাই করতে পারেন। যদিও আপনার আশেপাশেই হয়তোবা অনেক ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে এবং ফ্রীল্যান্সিং শিখুন এরকম পোস্টার সবসময়েই দেখেন তবুও এদের থেকে দূরে থাকাই ভালো। কারণ আপনি ফ্রীল্যান্সিং নয় আসলে কাজ শিখবেন। দুইটি ভিন্ন বিষয়। আর অনেকেই দূরে কোথাও যেতে চান না। কিন্তু যদি দূরে কোথাও ভালোভাবে ফ্রীল্যান্সিং শিখার সুযোগ থাকে সেক্ষেত্রে চেষ্টা করা উচিৎ সেখানেই যাওয়ার। আর কোথাও যদি শিখতে ভর্তি হয়ে যান, চেষ্টা করুন ভালোভাবেই শিখার জন্য। এজন্য নিয়মিত ক্লাস করা, যা বুঝতে পারবেন না তা জানতে চাওয়া, নিজের মতামত শেয়ার করা বা প্রশ্ন করে বিকল্প উপায় সম্পর্কে জানতে চাওয়া ইত্যাদি। আপনি যত বেশী জানতে পারবেন, শিখতে পারবেন ততো বেশী আপনার সফল হবার চান্স বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে যদি কোথাও ইন্টার্নই করার সুযোগ পান, তবে সেখানেও লেগে থাকতে চেষ্টা করুন। কারণ হয়তোবা সেখানেও আরো অনেক কিছু শিখতে পারবেন। যা আপনাকে দক্ষ করে তুলতে পারবে।

 

৩. দক্ষ থেকে দক্ষতর হয়ে উঠার উপায়

যদি আপনি উপরের দুই স্টেপ পার করে এসে থাকেন এবং ভাবতে থাকেন এখন আপনি দক্ষ তাহলে সেটা অবশ্যই আপনার ভুল ধারণা হবে। কেননা শুধু দক্ষ হলেই আপনার সফল হওয়ার চান্স যেমন বাড়বে না তেমন আপনি যা শিখেছেন তাও আসলে পর্যাপ্ত না। কথাটি একটু বেশী পেঁচালো হলেও এখনি এর কারণও বুঝতে পারবেন। মূলত ফ্রীল্যান্সার হিসেবে তাদেরকেই ক্লাইন্ট বেশী পছন্দ করেন যারা কাজটি শুধু করে দিবে তা নয়, করে দেয়ার পর ক্লাইন্ট আর কোন সমস্যা খুঁজে পাবে না। কারণ আপনি আগে থেকেই সেসকল সমস্যা বুঝে যেতে পারবেন এবং সমাধান করতে পারবেন। ক্লাইন্ট এর থেকে সমস্যা জানতে হবে না। আর এরকম কাজ শুধু তখনই হয় যখন কেউ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সকল প্রকার সমস্যা আগেই সমাধান করতে পারবে। এখন যদি আপনি মাত্র কাজ শিখে ফ্রীল্যান্সিং করার জন্য আসেন তাহলে আপনার কি পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা থাকার সুযোগ রয়েছে? অবশ্যই না। তাহলে কিভাবে এই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন সেটাই আসল বিষয়। অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আমরা কয়েকটি সাজেশন দিতে পারি। সেগুলো হচ্ছেঃ

 

অভিজ্ঞতা অর্জন

  • কাজ শিখতে শুরু করার সময় থেকেই প্র্যাকটিস করতে থাকুন। যত বেশী পারবেন ডেমো তৈরি করুন এবং কাজ শিখার সময় যা দেখানো হবে তা বারবার প্র্যাকটিস করুন। এই সময় যদি কোন ভুল খুঁজে পান বা নতুন কোন আইডিয়া পান সেটাও চেষ্টা করুন সমাধান করতে বা তৈরি করতে। এভাবেই যত বেশী চেষ্টা করবেন, ততোই অভিজ্ঞতা বাড়বে।
  • আপনার তৈরি করা ডেমো বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ আপলোড করতে পারেন যেখানে মূলত সেই বিষয় ভিত্তিক কাজ নিয়েই সকলে ফাইল বা ডিজাইন বা এরকম বিষয়বস্তু আপলোড করে থাকে সকলকে দেখানোর জন্য। যেমন ডিজাইন এর ক্ষেত্রে Deviantart হতে পারে, কোডিং এর ক্ষেত্রে Github বা এরকম ওয়েবসাইট সমূহ হতে পারে। একই সময় আপনি যদি মনে করেন আপনার কাজটি খুবই ভালো হয়েছে এবং অন্যদের কাজে আসতে পারে তাহলে মার্কেটপ্লেস এ আপলোড করতে পারেন বিক্রয়ের উদ্দেশে। এতে সেখান থেকে কিছু আয় পাওয়ায় সুযোগ তো আসবেই একই সময় অনেক ভুল বা সমস্যার সমাধানের উপায়ও খুঁজে পাবেন এবং তা আপনার অভিজ্ঞতা বাড়াতে সহায়তা করবে। কেননা ভুলগুলো সংশোধন করার সময় আপনি হয়তোবা নতুন কিছু শিখতে পারবেন।
  • আপনি যে বিষয় নিয়ে কাজ শিখতে চাচ্ছেন সে বিষয়ের উপর ভালো ভালো ফোরাম, ব্লগ ইত্যাদি খুঁজে বের করে নিয়মিত অনুসরণ করুন। হয়তোবা সেখান থেকেও আপনি কাজ শিখতে পারবেন এবং একই সাথে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়াতে সেখানে অন্যদের সমসস্যার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করতে পারেন। সকল বড় ফ্রীল্যান্সাররাই এই বিষয়ে সবসময় সতর্ক এবং সকলেই এরকম স্থানে অ্যাক্টিভ। আমাকেও এর ভিতর অন্তর্ভুক্ত করা যায়। ব্যক্তিগত ভাবে আমি এভাবেই কাজ শিখতে বেশী পছন্দ করি।
  • ইন্টার্নই করার সুযোগ থাকলে সেটা করেও আপনি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। ফলে একে তো আরো ভাল কাজ শিখতে পারছেন সেই সাথে দক্ষ ব্যক্তিদের সাথে থেকে কিভাবে কাজ করতে হয় বা কাজ পেতে হয় ইত্যাদিও আপনি শিখতে পারতে পারেন। যা একটি কার্যকরী পদ্ধতি।
  • যদি সুযোগ থাকে, ফ্রী কনটেন্ট তৈরি করে সেগুলো পাবলিক প্লেসে ছেড়ে দিতে পারেন। যেমন আপনি ওয়েবসাইট এর থিম ডিজাইন করার কাজ শিখে থাকলে কিছু ডিজাইন তৈরি করে সেগুলো মার্কেটপ্লেসে ছেড়ে দিতে পারেন এবং উন্মুক্তভাবে যাতে সকলে তা সহজেই ব্যবহার করতে সক্ষম হয়। এতে আপনার একটি মার্কেটিং এর কাজ হয়ে যাবে বলেই এটা জরুরী বটে। আর তাছাড়া আপনার ফ্রী কনটেন্ট ব্যবহারকারী কারো যদি আপনার কাজ বেশী ভালো লাগে তবে সে হয়তোবা তার নিজের কোন কাজের জন্যও আপনার সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করবে।

 

অতএব শুধু কি কাজ শিখতে চান তা বাছাই করে বসে না থেকে এভাবেই অগ্রসর হতে চেষ্টা করুন।  নিজেকে সফল ফ্রীল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে এগিয়ে যান। আর যেকোনো পরামর্শের জন্য আমরাতো আছি।

যেকোনো প্রশ্ন এখানে কমেন্টে অথবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপ এ অথবা ইমেইল এ জানাতে পারেন। আমরা চেষ্টা করবো সঠিকভাবে আপনাকে সহায়তা করতে।


ফেসবুকে যে কাজগুলো করবেন না


বর্তমানে প্রতিদিনের একটি কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে ফেসবুক ব্যবহার। কি করছেন কি খাচ্ছেন সবই এখন ফেসবুকে। যেন প্রতিটি আপডেট ফেসবুকে শেয়ার না করলে ভালো লাগে না। আর এই ফেসবুক ব্যবহার করতে গিয়েই অনেকে অনেক সময় লজ্জাজনক অবস্থায় পরেন। আবার অনেকে জানেই না সে একটু ভুল করে বসে আছে। যা তার ব্যক্তিত্তের জন্যই খারাপ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই এভাবে ছোট ভুল করে চাকরি পর্যন্ত হারাচ্ছেন। তাই ফেসবুকে যে কাজগুলো করবেন না তা নিয়েই আজকের পোস্ট।

 

নিজের ছবি/পোস্ট এ লাইক দিবেন নাঃ অনেকেই নতুন মোবাইল ক্রয় করে তার ছবি আপলোড করেন। যেহেতু আপনি সেটি আপলোড করছেন তার অর্থ আপনি আসলেই মোবাইলটি পছন্দ করেছেন। তাই বলে আপলোড করা ছবিতেই লাইক দিয়ে আপনি কতটা পছন্দ করেছেন তা বুঝাতে হবে এমন নয়।

আবার অনেকেই মনে করেন লাইক দিলে তার ছবিটি বেশী বেশী নিউজ ফিডে দেখাবে। তাই এই কাজটি করে থাকেন। আর এটিও ভুল। সেই সাথে তারা নিজেদের মার্কেটিং করছে বলেও সবার মনে হয়। তাই এই কাজটি সাধারণত একটি বোকামি এবং আপনার ব্যক্তিত্তের একটি দুর্বলতা।

 

এলোমেলো ভাবে মানুষকে ট্যাগ করবেন নাঃ একটি ছবি আপলোড করে বা একটি পোস্ট লিখে এলোমেলো ভাবে সবাইকে ট্যাগ করবেন? এভাবে ট্যাগ করলে হয়তো আপনি যাদেরকে ট্যাগ করেছেন তারা বিরক্ত হবে। মূলত ট্যাগ বিষয়টি তখনি আসে যখন কোন ছবিতে আপনি ছাড়াও কেউ থাকবে এবং তাদেরকে ট্যাগ করা। যেমন কোথাও ঘুরতে গিয়েছেন বলে পোস্ট করছেন, সেখানে কে কে আছে তাদেরকে ট্যাগ করা। অর্থাৎ সরাসরি যারা সেই পোস্টের সাথে যুক্ত তাদেরকে ট্যাগ করার ফিচার এটি। বিনা কারণে ট্যাগ করে অনেকে ব্লকের শিকার হয়ে থাকেন এবং অনেক সময় নিজের অ্যাকাউন্টকেও স্প্যাম হিসেবে ফেসবুকে রিপোর্ট পেয়ে থাকেন। তাই বুঝেশুনে এই ফিচার ব্যবহার করুন।

 

অন্যের জন্য অস্বস্তিকর পোস্টঃ অনেক সময় অনেকেই এরকম ছবি বা পোস্ট করেন যা তাদের ফ্রেন্ডলিস্টের অনেকের জন্যই অস্বস্তিকর। উদাহারণ হিসেবে সিগারেট খেতে থাকা ছবি বলা যায়। আপনি হয়তো ভাবছেন এটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার কিছু আপনাকে হয়তো অনেকেই এতে ছোট করেই দেখছে এর কারণে। যা ব্যক্তিত্ব নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। তবে এখানে সিগারেট খাওয়ার ব্যাপারটা উদাহারণ মাত্র। অন্য অনেক কিছুও এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

 

চাকরি নিয়ে অভিযোগ ও তথ্য শেয়ারঃ আপনি যেখানে চাকরি করছেন বা পূর্বের চাকরি নিয়ে অভিযোগ রয়েছে আপনার এবং তা ফেসবুকে পোস্ট করছেন? এটা হয়তো আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। যেমন অফিসের উপরের কেউ দেখে তার উপর ভিত্তি করে অভিযোগ দিতে পারে। ফলে চাকরি হারাতে পারেন। আবার যেখানে চাকরি করছেন সেখানের সেনসিটিভ তথ্য ফেসবুকে শেয়ার করছেন বা চাকরিতে কি করছেন তা শেয়ার করেও একই সমস্যায় পরতে পারেন। তাই চাকরি নিয়ে অভিযোগ বা কি করছেন তা শেয়ার না করাই ভালো।

 

অন্য ফ্রেন্ডের পোস্ট ছবি শেয়ারঃ আপনার বন্ধু বিয়ে করছেন বা একটি ছবি আপলোড করেছেন? সেখানে আপনি কমেন্ট বা লাইক দিতেই পারেন কিন্তু পোস্টটি শেয়ার করা? অথবা তাদের প্রোফাইল পিকচার শেয়ার করা? হয়তো এতে আপনি সবাইকেই বিভ্রান্ত করছেন এবং আসল আপলোডকারীকেও অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলছেন। তাই এরকম কাজ এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।

 

আইডি কার্ড বা পাসপোর্টঃ আপনার আইডি কার বা পাসপোর্ট অথবা এরকম কিছু ছবি শেয়ার করা থেকে সবসময় বিরত থাকুন। যদি করতেও হয়, আইডি কার্ড এর নাম্বার, জন্ম তারিখ এরকম তথ্যগুলো মুছে এরপর আপলোড করুন। নয়তবা এই তথ্যগুলো হয়তো আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতেও ব্যবহার করা হতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় শেয়ার না করাই এবং শেয়ার করার কোন কারণও হয়তো আপনার নেই তাই এটা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

 

অন্য কারো কথায় কিছু শেয়ার করাঃ কেউ আপনাকে বলেছে কিছু একটা শেয়ার করতে তাই শেয়ার করছেন? এটাও ভুল। হয়তোবা তথ্যটি মিথ্যে এবং যে আপনাকে বলেছে সে নিজেও জানে না। তাই না জেনে ভুল তথ্য ছড়ানো কোন ভাবেই উচিৎ নয়। খোঁজ নিয়ে ভালো ভেবে জেনেই এরপর শেয়ার করতে পারেন। এর আগে নয়। এক্ষেত্রে শুধু ফেসবুক টাইমলাইন নয় মেসেজেও একই সমস্যা তৈরি করে থাকেন অনেকেই। তাই সতর্কতা অবলম্বন করে শেয়ার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

 

ঠিকানাঃ বাড়ির ঠিকানা ফেসবুকে দিয়ে রাখবেন? আপনার বন্ধুরা বা পরিচিতরা তো আপনার ঠিকানা জানেই। তাও কেন দিয়ে রাখবেন? বরং তাদের জন্য নয় আপনি হয়তো খারাপ মানুষদেরকেই ঠিকানা দিয়ে দিচ্ছেন সেটা কি ভেবে দেখেছেন? তাই কোন ভাবেই বাড়ির ঠিকানা ফেসবুকে দেয়া একটি ভুল কাজ। এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন।

 

এছাড়াও অনেক কিছুই রয়েছে যা আমরা না বুঝে শেয়ার করে থাকি। মোবাইল নাম্বার, জন্ম তারিখ, ইমেইল ইত্যাদি লুকিয়ে রাখাই ভালো। তাছাড়া পাসওয়ার্ড এর সাথে মিল থাকা যেকোনো তথ্য বা পুরাতন পাসওয়ার্ড শেয়ার না করাই ভালো। সবসময় বুঝেশুনে শেয়ার করতে চেষ্টা করুন।



Post a Comment

0 Comments